কুমিল্লার ও পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখা ব্যক্তি স্থানীয় সুজানগরের ইকবাল হোসেন ,,৩৫,,বলে জানিয়েছে পুলিশ। ও গতকাল বুধবার এ তথ্য জানানোর পর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তার পরিবার। এ ঘটনায় বিব্রত ইকবালের মা বিবি আমেনা তার ছেলের বিচার চেয়েছেন।
ইকবাল হোসেন ও তার মা বিবি আমেনা
ইকবাল মানসিক রোগী বা পাগল দাবি করে বিবি আমেনা বলেন, আগে বখাটেপনার জন্য গণপিটুনির শিকার হলে ইকবাল মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। তারপর থেকে তার আচরণে স্থানীয়রা অতিষ্ঠ। তার কারণে পরিবারটা শেষ হয়ে গেছে।ইকবালের ছোট ভাই রায়হান বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে যাকে দেখা যাচ্ছে, সে তার ভাই। সে পাগল, কিছু খাওয়ালে তাকে যা বলবে তাই করবে সে। স্বেচ্ছায় সে বুঝে শুনে এমন কাজ করেছে বলে মনে হয় না।
বিবি আমেনা ও রায়হান জানান, কুমিল্লার সুজানগরে একটি ভাড়া বাসায় থাকে ইকবালের পরিবার। ঘটনায় ছেলের সম্পৃক্তরার বিষয়টি জানার পর থেকে পুলিশকে সহায়তা করছেন ইকবালের বাবা নূর আহমেদ আলম।
এর আগে গতকাল সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ইকবাল হোসেনকে শনাক্ত করার কথা জানান কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ। তিনি জানান, পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রেখে গদা কাঁধে নিয়ে হেঁটে যান ইকবাল হোসেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
পুলিশ আরও জানায়, ঘটনার পর তদন্তে নামা পুলিশের কয়েকটি দল সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে। দীর্ঘ অনুসন্ধানে ইকবাল হোসেনকে শনাক্ত করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর এবার তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা শুরু হয়েছে,,ও ইকবাল ভবঘুরে জানা গেলেও রাজনৈতিক ও কোনো দলের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তার আগের সপ্তাহের বুধবার ভোরে কুমিল্লার নানুয়াদিঘির ও উত্তরপাড়ে দর্পণ সংঘের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে ও পবিত্র কোরআন দেখা যায়। এই ঘটনা জানাজানি হলে ওই মণ্ডপে হামলা ও ভাঙচুর চালায় একদল লোক। একই সঙ্গে ওই ঘটনার জেরে দেশের ও বিভিন্ন স্থানে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে
Nice
ReplyDeletePost a Comment