প্রাথমিকের চাকরির প্রস্তুতি নেবেন যেভাবে-GOVERNMENT JOBS-সরকারি চাকরি

  সরকারি চাকরি,GOVERNMENT JOBS,সরকারি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি,সরকারি চাকরির খবর,নতুন চাকরির নিয়োগ,প্রাথমিকের চাকরির প্রস্তুতি নেবেন যেভাবে 


সরকারি চাকরি,GOVERNMENT JOBS,সরকারি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি,সরকারি চাকরির খবর,নতুন চাকরির নিয়োগ,প্রাথমিকের চাকরির প্রস্তুতি নেবেন যেভাবে
সরকারি চাকরি

প্রাথমিকের চাকরির প্রস্তুতি নেবেন যেভাবে 

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদের ৩২ হাজার ৫৭৭টি পদের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ১৩ লাখের কিছু বেশি। একটি পদের জন্য লড়বেন প্রায় ৪০ জন। তুমুল প্রতিযোগিতাপূর্ণ এ পরীক্ষায় পাস করতে হলে এখন থেকেই জোরেশোরে প্রস্তুতি নিতে হবে। সঠিকভাবে অনুশীলন করলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় সহজেই উত্তীর্ণ হওয়া যাবে।

সহকারী শিক্ষক পদের পরীক্ষা হবে ১০০ নম্বরের। এর মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় ৮০ নম্বর এবং মৌখিক পরীক্ষায় বরাদ্দ থাকবে ২০ নম্বর। লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে এমসিকিউ বা বহুনির্বাচনী পদ্ধতিতে। বাংলা, গণিত, ইংরেজি বিষয়ে ২০টি করে মোট ৬০টি ও সাধারণ জ্ঞান, বিজ্ঞান ও কম্পিউটার ৩টি বিষয় মিলে ২০টি অর্থাৎ, মোট ৮০টি এমসিকিউ প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে মৌখিক পরীক্ষায় ডাকা হবে। মৌখিক পরীক্ষায় পাস করলে যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়া হবে।

প্রস্তুতির জন্য গত বছরের প্রশ্নগুলো ব্যাখ্যাসহ পড়ে ফেলুন। প্রশ্ন সম্পর্কে ধারণা হবে। এ ছাড়া চাকরির প্রস্তুতিবিষয়ক মাসিক ম্যাগাজিন ‘চলতি ঘটনা: বাংলাদেশ ও বিশ্ব’ তে রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের মডেল টেস্ট। সেগুলো ঘড়ি ধরে বাসায় অনুশীলন করলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সব প্রশ্ন উত্তর করার চর্চা হয়ে যাবে। ফলে পরীক্ষার হলে অনেকের চেয়ে এগিয়ে থাকবেন। সফল হওয়ার জন্য অনিয়মিত বেশি পড়ার চেয়ে নিয়মিত অল্প অল্প করে পড়া ভালো। তাই প্রতিদিন অল্প সময়ের জন্য হলেও বই নিয়ে বসুন।


প্রাথমিকের চাকরির বাংলা

বাংলা বিষয়ে প্রস্তুতির জন্য নবম–দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ বোর্ড বই (পুরাতন ও নতুন সংস্করণ) পড়তে হবে। এ বইয়ের ব্যাকরণ থেকে ভাষা, বর্ণ, শব্দ, সন্ধিবিচ্ছেদ, কারক, বিভক্তি, উপসর্গ, অনুসর্গ, ধাতু, সমাস, বানান শুদ্ধি, পারিভাষিক শব্দ, সমার্থক শব্দ, বিপরীত শব্দ, বাগ্​ধারা ও এককথায় প্রকাশ থেকে প্রশ্ন আসে। সাহিত্য অংশে গল্প বা উপন্যাসের রচয়িতা, কবিতার উক্তি উল্লেখ করে কবির নাম থেকে প্রশ্ন থাকতে পারে।

বাংলা অংশে ব্যাকরণের ওপর বেশি জোর দিতে হবে। জানতে হবে কবি-সাহিত্যিকদের সাহিত্যকর্ম ও জীবনী সম্পর্কে। এ জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বোর্ড বইয়ের লেখক পরিচিতি ও সাধারণ জ্ঞান বইয়ের সাহিত্যিক পরিচিতি অংশ পড়লে সুবিধা হবে।


যাঁরা শর্টকাট প্রস্তুতি নিতে চান, তাঁরা সন্ধি, বিপরীত শব্দ , সমার্থক শব্দ, শুদ্ধ বানান , এককথায় প্রকাশ, সমাস, বাগ্​ধারা, কারক-বিভক্তি, ছদ্মনাম/উপাধি, দ্বিরুক্ত শব্দ, ধ্বনি, বর্ণ, বাক্য (সরল, জটিল, যৌগিক) ও পদ নির্ণয় পড়তে পারেন।


প্রাথমিকের চাকরির ইংরেজি

ইংরেজি বিষয়ের গ্রামার অংশের জন্য রাইটস ফর্ম অব ভার্ব, টেনস, প্রিপজিশন, পার্টস অব স্পিচ, ভয়েস, ন্যারেশন, স্পেলিং, বাক্য সংশোধনের নিয়ম জানতে হবে। গ্রামার বইয়ের উদাহরণ থেকে অনুশীলন করতে হবে। বিভিন্ন ধরনের ইংরেজি বাগ্​ধারা, সমার্থক শব্দ ও বিপরীত শব্দ মুখস্থ করতে হবে। ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ আসতে পারে, সে ক্ষেত্রে নিয়মিত ইংরেজি পত্রিকা পড়া যেতে পারে। সহায়ক বই হিসেবে ষষ্ঠ-দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত এনসিটিবির ইংরেজি গ্রামার বোর্ড থেকে আরো চর্চা করা যেতে পারে।


প্রাথমিকের চাকরির গণিত

যাঁদের গণিতের বেসিক বেশি ভালো নয়, তাঁরা পঞ্চম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত গণিতের বইগুলো অনুশীলন করতে পারেন। পাটিগণিতের পরিমাপ ও একক, ঐকিক নিয়ম, অনুপাত, শতকরা, সুদকষা, লাভ–ক্ষতি, ভগ্নাংশ, বীজগণিতের সাধারণ সূত্রাবলি থেকে প্রশ্ন থাকে। মুখে মুখে ও সূত্র প্রয়োগ করে সংক্ষেপে ফলাফল বের করার অনুশীলন করতে হবে। জ্যামিতিতে ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, বর্গক্ষেত্র, রম্বস, বৃত্ত ইত্যাদির সাধারণ সূত্র ও সূত্রের প্রয়োগ বেশি করে পড়তে হবে।

আরো যাঁরা শর্টকাট প্রস্তুতি নিবেন তাঁদের জন্য> দশমিকের (যোগ> বিয়োগ> গুণ> ভাগ), শতকরা, লাভ-ক্ষতি, আরো মুনাফা, ল.সা.গু, গ.সা.গু, ঐকিক নিয়ম (কাজ, খাদ্য, সৈন্য),আরো অনুপাত,আরো সমানুপাত, সংখ্যা পদ্ধতি, বীজগাণিতিক মান নির্ণয়, উৎপাদক নির্ণয়, গড়, মধ্যক, প্রচুরক নির্ণয়, ত্রিভুজক্ষেত্র, বর্গক্ষেত্র, আয়তক্ষেত্রের বেসিক সূত্রের অঙ্কসমূহ, সরলরেখা, ধারা, গাছের উচ্চতা/মিনারের উচ্চতা/মইয়ের দৈর্ঘ্য/সূর্যের উন্নতি কোণ ইত্যাদি। জ্যামিতিক অংশের অনুশীলনীর জন্য জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ষষ্ঠ-নবম শ্রেণির বোর্ড আরো বইয়ের জ্যামিতিক অংশ অনুশীলন করলে পরীক্ষায় ভালো করা সম্ভব।


প্রাথমিকের চাকরির সাধারণ জ্ঞান

বাংলাদেশ ও সাম্প্রতিক বিশ্ব থেকে প্রশ্ন বেশি আসে। বাংলাদেশ অংশে বাংলাদেশের শিক্ষা, ইতিহাস, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ, ভূপ্রকৃতি ও জলবায়ু, সভ্যতা ও সংস্কৃতি, বিখ্যাত স্থান, বাংলাদেশের রাষ্ট্রব্যবস্থা, অর্থনীতি, বিভিন্ন সম্পদ, জাতীয় দিবস থেকে প্রশ্ন আসে। সাম্প্রতিক বিষয়ের জন্য ‘চলতি ঘটনা’ বইটি পড়তে পারেন। অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাস, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি থেকে বেসিক প্রশ্ন করা হয়।

প্রাথমিকের চাকরির আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক অংশে বিভিন্ন সংস্থা, দেশ, মুদ্রা, রাজধানী, দিবস, পুরস্কার ও সম্মাননা, খেলাধুলা থেকে প্রশ্ন থাকে। এ ছাড়া ভৌগোলিক উপন্যাস, সীমারেখা, প্রণালি, দ্বীপ, সাগর, মহাসাগর, চুক্তি, সম্মেলন, আন্তর্জাতিক দিবস ও জাতিসংঘ ইত্যাদি বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।

প্রাথমিকের চাকরির সাধারণ বিজ্ঞান

সাধারণ বিজ্ঞান থেকে বিভিন্ন রোগব্যাধি, খাদ্যগুণ, পুষ্টি ও ভিটামিন থেকে প্রশ্ন আসতে পারে। বিজ্ঞান বিষয়ের জন্য পঞ্চম-নবম শ্রেণির এনসিটিবির বিজ্ঞান বই এবং ষষ্ঠ-অষ্টম শ্রেণির এনসিটিবির আইসিটি বোর্ড বইটি অনুশীলন করলে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আরো দেখুন সরকারি চাকরি




Post a Comment

Previous Post Next Post